১৯৬২⇒ পরিদপ্তর হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভ এবং ঢাকায় মাত্র ১টি পাসপোর্ট অফিস থেকে সমগ্র বাংলাদেশের পাসপোর্ট প্রার্থীদের পাসপোর্ট প্রদান কার্যক্রম শুরু।
১৯৭৩⇒ পরিদপ্তর থেকে পূর্ণাঙ্গ অধিদপ্তর হিসেবে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু। ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও খুলনায় মোট ৫টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নিয়ে অধিদপ্তরের কার্যক্রম শুরু।
১৯৮১⇒ রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও বরিশাল -এ অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন আরও ৪টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সৃজন।
১৯৯৮⇒ নোয়াখালী, ফরিদপুর ও যশোরে জনবলসহ আরও নতুন ৩টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সৃজন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকায় অন এরাইভাল ভিসা প্রদানের জন্য একটি ভিসা সেল সৃজন।
২০০১⇒ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস হবিগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ সৃজন।
২০১০⇒ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) প্রবর্তন। প্রধান কার্যালয়ে পার্সোনালাইজেশন সেন্টার, ডাটা সেন্টার ও যশোরে ডিজাস্টার রিকভারী সেন্টার সৃজন। প্রথম ধাপে ৩৪টি বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস/ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও ৭টি ভিসা সেল ও ৩৩টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে এমআরপি ও এমআরভি কার্যক্রম বাস্তবায়ন।
২০১১ হতে ২০১৫⇒ সারা দেশে অবশিষ্ট ৩৩টি জেলায় সফলভাবে এমআরপি কার্যক্রম চালু। ৬৫টি বাংলাদেশ দূতাবাসে এমআরপি ও এমআরভি কাযক্রমবাস্তবায়ন। বর্তমানে দেশের সকল জেলার নাগরিকগণ নিজ নিজ জেলায় স্থাপিত পাসপোর্ট অফিস থেকে এমআরপি গ্রহণ করতে পারছেন।
২০১৬⇒ ঢাকায় নতুন আরো ৪টি পাসপোর্ট অফিস সৃজন। তন্মধ্যে ০১ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে অধিদপ্তরের ৬৮তম অফিস হিসেবে পাসপোর্ট অফিস, ঢাকা সেনানিবাস এবং ৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে ৬৯তম অফিস হিসেবে পাসপোর্ট অফিস, বাংলাদেশ সচিবালয় উদ্বোধন।
অধিদপ্তরেরঅর্জিতসাফল্যসমূহ
দেশের অভ্যন্তরে ৭টি বিভাগ এবং ৬৪টি জেলার মোট ৬৯টি অফিস থেকে এমআরপি প্রদান এবং ৭টি বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস থেকে এমআরভি প্রদান।
বিদেশে ৬৫টি দূতাবাসে পাসপোর্ট ও ভিসা উইং স্থাপন এবং তন্মধ্যে ১৫টি দূতাবাসে পাসপোর্ট ও ভিসা উইং এ অধিদপ্তরের জনবল পদায়ন করে এমআরপি ও এমআরভি প্রদান।
ডাটা সেন্টার, ডিজাস্টার রিকভারী সেন্টার (ডিআরসি) ও পাসপোর্ট পার্সোনালাইজেশন সেন্টারের সার্বিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং সমস্ত পাসপোর্টের তথ্য ডিআরসিতে সংরক্ষিত আছে।
পাসপোর্ট আবেদনকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত তথ্য অন-লাইনে ভেরিফিকেশনের জন্য অন-লাইন কানেক্টিভিটি স্থাপন।
এমআরপি আবেদনকারীদের জরুরি সার্ভিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণ সম্পর্কিত তথ্য প্রদান।
৭০টি এসবি/ডিএসবি অফিসে অন-লাইনে পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য অন-লাইন কানেক্টিভিটি স্থাপন।
অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় ডাটা সেন্টারের সাথে দেশের সকল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট (আইসিপি) এর কানেক্টিভিটি স্থাপন।
আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এ প্রবাসী বাংলাদেশীদের এমআরপি প্রদান।
ব্যাংক এশিয়া, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংকের মাধ্যমে অন-লাইনে এমআরপি ফি গ্রহণ।
প্রতিটি আঞ্চলিক অফিসের পক্ষে ফেসবুক পেজ চালু এবং সোশ্যাল মিডিয়া আড্ডা আয়োজন।
অন-লাইনে ফরম্ পূরণের সুবিধা থাকায় নাগরিকগণ সহজেই নিজের তথ্য পাসপোর্টের আবেদনে অন্তর্ভূক্তির সুযোগ পাচ্ছেন।
২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছর সফলভাবে পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উদ্যাপন, যার মাধ্যমে পাসপোর্ট সেবা আরো উৎকর্ষ লাভ করেছে।
সমগ্র বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করা হয়েছে।
সর্বাধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সুবিধা সম্বলিত পার্সোনালাইজেশন কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে।
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন
ঢাকায় আরও ২টি পাসপোর্ট অফিস স্থাপন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
১০টি দূতাবাসে অধিদপ্তরের জনবল পদায়ন এর প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন।
নাগরিকের সুবিধা বিবেচনায় এমআরপি পাসপোর্টের মেয়াদ ৫ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ১০ বছরে উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিদ্যমান জনবল ১১৮৪ থেকে ৪(চার) হাজারে উন্নীত করার প্রস্তাব বিবেচনাধীন রয়েছে।
১৬টি জেলায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিজস্ব ভবন নির্মান প্রক্রিয়াধীন।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নিজস্ব ভবন নির্মাণের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন।